নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বাংলাদেশের প্রথম নারী যিনি কোনো সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র।
২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচনে ও ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে তার সক্রিয় রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাত ঘটে। তিনি ২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনে জয়লাভ করে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম মহিলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন।
১৯৬৬ সালের ৬ জুন নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগে রাজনৈতিক পরিবারে জম্ম গ্রহন করেন তিনি। তার বাবা সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ‘আলী আহাম্মদ চুনকা’ এবং মা মমতাজ বেগম । পাঁচ ভাই-বোনদের মাঝে তিনি প্রথম সন্তান।
মঙ্গলবার (৬ জুন) তার ৫২ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে দৈনিক সংবাদচর্চা পরিবারের পক্ষ থেকে তার জন্মদিন উপলক্ষে অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
ডা. আইভী দেওভোগ আখড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে প্রথম শিক্ষা জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ প্রিপারেটরী স্কুলে ভর্তি হন এবং ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত এখানে লেখাপড়া করেন। অতঃপর তিনি মর্গ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
১৯৭৯ সালে ট্যালেন্টপুলে জুনিয়র স্কলারশিপ পান এবং ১৯৮২ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় স্টারমার্কসহ উত্তীর্ণ হন। ১৯৮৫ সালে রাশিয়ান সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে শিক্ষা গ্রহণের জন্য ওডেসা পিরাগোব মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন এবং ১৯৯২ সালে কৃতিত্বের সাথে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯২-৯৩ সালে ঢাকা মিডফোর্ট হাসপাতালে ইন্টার্নি সম্পন্ন করেন।
সুদীর্ঘ শিক্ষা জীবনের পর ১৯৯৩-৯৪ সালে মিডফোর্ট হাসপাতালে এবং ১৯৯৪-৯৫ সালে নারায়ণগঞ্জ খানপুর আধুনীক হাসপাতাল (২০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে) অনারারি চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন ডা. আইভী।
১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর রাজবাড়ী নিবাসী কাজী আহসান হায়াৎ-এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার স্বামী কাজী আহসান হায়াৎ বর্তমানে কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে নিউজিল্যান্ডে কর্মরত রয়েছেন। পারিবারিক জীবনে তিনি দুই পুত্র সন্তানের জননী। দুই সন্তান হলো কাজী সাদমান হায়াত সীমান্ত ও কাজী সারদিল হায়াত অনন্ত।
১৯৯৫ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডে বসবাস শুরু করেন। সেখানে তিনি নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি সায়েন্সে অধ্যয়ন শুরু করেন। তিনি অধ্যয়নরত অবস্থায় ২০০২ সালের ডিসেম্বরে দেশে ফিরে আসেন।
সেলিনা হায়াৎ আইভী স্কুল ও কলেজ জীবন হতে বাবার সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতেন। ১৯৯৩ সালে তিনি নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদিকা ছিলেন।
বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন। তিনি আলী আহাম্মদ চুনকা ফাউন্ডেশন এবং নারায়ণগঞ্জ হার্ট ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং তিনি এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত সেলিনা হায়াৎ আইভী।
বর্তমানে তিনি ২য় বারের মত মেয়র পদে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে খুব সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।